হেবা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় আইন
হেবা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় আইন বলতে বাংলাদেশে হেবা (উপহার) সম্পর্কিত আইন মূলত ইসলামী আইন এবং কিছু ক্ষেত্রে সেকুলার আইন দ্বারা পরিচালিত হয়। ইসলামী আইনে হেবা বলতে বোঝানো হয় স্বেচ্ছায় ও বিনামূল্যে কোনো সম্পদ বা সম্পত্তি অন্যকে প্রদান করা। এই প্রক্রিয়ায় দাতা এবং গ্রহীতার সম্মতি গুরুত্বপূর্ণ। হেবা সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় আইনগুলো সংক্ষেপে নিচে উল্লেখ করা হলো:
হেবা করার শর্তাবলী:
দাতার যোগ্যতা:
হেবা করার জন্য দাতার প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন এবং সম্পত্তির ওপর সম্পূর্ণ মালিকানা থাকা আবশ্যক।
গ্রহীতার যোগ্যতা:
গ্রহীতা হতে পারে ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা সংগঠন। এটি প্রাপ্তবয়স্ক বা অপ্রাপ্তবয়স্ক হতে পারে।
সম্পত্তি বা উপহার:
হেবা শুধুমাত্র দাতার মালিকানাধীন সম্পত্তি বা সম্পদ হতে হবে।
দাতা পুরো সম্পত্তি বা এর একটি নির্দিষ্ট অংশ হেবা করতে পারে।
হেবা কার্যকর হওয়ার শর্ত:
সম্পত্তি বা উপহার দাতার পক্ষ থেকে গ্রহীতার কাছে সরাসরি হস্তান্তর করতে হবে।
দাতা এবং গ্রহীতার মধ্যে সম্পূর্ণ সম্মতি থাকা আবশ্যক।
আরও পড়ুনঃ চেক ডিজঅনার মামলা কি
হেবা বাতিল করার নিয়ম:
দাতা হেবা বাতিল করতে পারেন যদি:
হেবা সম্পত্তি এখনও গ্রহীতার দখলে না গেছে।
কোনো শর্ত পূরণ না করা হয়।
কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে হেবা বাতিল করা যায় না, যেমন:
যখন গ্রহীতা স্বামী বা স্ত্রী হন।
যখন এটি উত্তরাধিকারীদের জন্য করা হয়।
যখন এটি বিনিময়ে কোনো কিছু শর্তে করা হয়।
বিচারিক প্রক্রিয়া:
যদি হেবা নিয়ে কোনো বিরোধ হয়, তবে এটি দেওয়ানী আদালতে নিষ্পত্তি করতে হয়।
বাংলাদেশের প্রাসঙ্গিক আইন:
বাংলাদেশে হেবা মূলত মুসলিম ব্যক্তিগত আইন (শরীয়াহ) দ্বারা পরিচালিত হয়। তবে:
ট্রান্সফার অফ প্রোপার্টি অ্যাক্ট, ১৮৮২-এর কিছু ধারা হেবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হতে পারে।
ইসলামিক ফিকহ ও শরীয়াহ অনুসারে বিচারিক ব্যাখ্যা প্রয়োগ করা হয়।
গুরুত্বপূর্ণ বিচারিক নির্দেশনা:
হেবার ক্ষেত্রে স্থানীয় কাস্টম এবং প্রথাও গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিভিন্ন রায় হেবার আইনি দিকগুলো ব্যাখ্যা করতে সহায়ক।
যোগাযোগ করুনঃ +8801725230535